চাদঁপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে একটি খালে মিলল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ।

১৬ মে রাতে ওই ইউনিয়নের নোয়াপাড়া সড়কের হাঁট খোলা বাড়ির পাশের খাল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

১৭ মে সকালে ময়না তদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ চাদঁপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক নারী তাঁর গৃহপালিত হাঁস ধরতে খালটিতে নামেন।

পরে খালে কচুরিপানার নিছে চুল দেখতে পেয়ে ভয়ে চিৎকার দেয়।

পরে স্থানীয়রা এসে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক জাফর আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।

পুলিশ লাশটি উদ্ধারের পর স্থানীয়দের দেখালে কেউই মৃত এই নারীকে চিনেন না এবং স্থানীয় কেউ নিখোঁজও হননি বলে জানান।

এদিকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য খবর দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে। তাঁরা রাতেই মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সাকেল) পংকজ কুমার দে জানান, ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন ধরে মরদেহটি এই খালে পড়ে আছে।

স্থানীয়রা কেউ যেহেতু মরদেহের পরিচয় জানেন না তাহলে সন্দেহ থাকছে। কেউ মেরে এখানে ফেলে গেছে কিনা তদন্তের মাধ্যমে সেটি বেরিয়ে আসবে। এখনও মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরিচয় সনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তফা কামাল রাশেদ বলেন, নারীর মৃতদেহের বেশিরভাগ অংশ পচে-গলে গেছে। তার পরিচয় সনাক্ত করতে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তারপরও তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে।