শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুরাদ হোসেন রাহি, লাকসামঃ
HSC যদি অটো পাশ হয়,আমাদের ও দিতে হবে গত কয়েক মাস যাবত HSC পরিক্ষা নিয়ে নানান কথা উঠলেও ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং নিয়ে তেমন আলোচনা বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোন নোটিশ আসে নি।HSC পরিক্ষা নিয়ে আলোচনার পর গত কয়েক দিন আগে HSC অটো পাশ ঘোষণা করে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী।
এতে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়,কারণ তাদের সবার পড়ালেখা এবং জীবন থমকে গেছে।এই বিষয় নিয়ে অনেক প্রতিবাদ করার পরেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।এতে শিক্ষার্থীরা আরো ক্ষুব্ধ হয়।এছাড়া অটো পাশে ভবিষ্যৎ জীবনে ঝুঁকি রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করে।তাই তাদের সবার দাবি তাদের বিষয়ে শীগ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হক।
নিচে বেশ কয়েক জনের বক্তব্য তুলে ধরা হলোঃ-
ছোট ছোট আশা নিয়ে পড়তে আসছিলাম ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং, আজকে, একটা বছর শেষ , সপ্নগুলো কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কারিগরি বোর্ডের সকল স্টুডেন্ট এর মাঝে হতাশা কাজ করছে, অামরা কেমন যেন দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তরের আশায় মন খুবই উদগ্রীব? আমরা যারা ডিপ্লোমার স্টুডেন্ট তাদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রলয়ের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই, অথচ PSC, JSC , SSC, HSC এর স্টুডেন্টদের নিয়ে ইতিমধ্যে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া শেষ, আচ্ছা ম্যাম, ডিপ্লোমা পড়তে এসে কি আমারা অনেক বড় অপরাধ করে ফেলছি..? সবসময় কেনো আমাদের কেউ বৈষম্যর শিকার হতে হবে..? নাকি কারিগরি পড়ছি এজন্য আমরা বাংলাদেশের স্টুডেন্ট এর তালিকা থেকেই বাদ পরে গেছি, কোনটা…???? খুবই জানতে ইচ্ছে করছে।
আচ্ছা একজন মায়ের কাছে তো সব সন্তানই সমান, নাকি কারিগরি বোর্ডের স্টুডেন্টরা আপনার সৎ সন্তান যার জন্য আমাদেরকে সবসময় অবহেলা করা হয় কোনটা ধরে নিবো…??? অথচ কারিগরি শিক্ষাই পারে একটি দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে। এমনিতেই আমাদের কোর্সটি দীর্ঘমেয়াদী, তারপর BSC একটি ব্যাপার আছে তারপর জব এর ক্ষেত্রে বয়স নিধারিত যথেষ্ট না। এইখানে আমাদের একটা বছর লস বিরাট ব্যাপার, আমরা কেউ চাইনা আামাদের জীবন থেকে একটা বছর এভাবে হারিয়ে যাক।
HSC এর মতো পাবলিক পরীক্ষায় যদি অটোপাশ দিতে পারেন তাহলে আামাদের জীবন থেকে কেনো একটা বছর হারিয়ে যাবে…??? আমরা ও অটোপ্রমোশন এর পক্ষে না তবুও চাই কারণ আমরা কেউই চাইনা জীবন থেকে একটা বছর হারিয়ে যাক। আর মেয়েদের কথা নাই বা বললাম ইয়ার লস হলে তাদের ক্ষতি হবে সব থেকে বেশী অধিকাংশ মেয়ে ঝরে পরবে, ঠিক যেন শরতের শিউলি ফুলের মতো তারপর পা দিয়ে তাদের পৃষ্টে দেওয়া হবে। তাদের সপ্নগুলো মরে যাবে।
বাংলাদেশ সরকার কি পারবে এটার ক্ষতিপূরণ দিতে..? প্রশ্ন রইল
অটোপ্রমোশন না দিতে পারলে প্রয়োজনে আমাদের ইন্সটিটিউট খুলে দেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেন। আমরা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত তবুও ইয়ার লস চাইনা।
অটোপাশ চাই না কারণ কি কি সমস্যা হবে ১.আমাদের ব্যবহারিক কাজ শিখতে পারবো না বঞ্চিত হবো।যেখানে কারিগরি শিক্ষার মূল কাজ হচ্ছে দক্ষতা যা আমরা শিখতে পারবো না। যার ফলে ভবিষ্যতে চাকুরিরের ক্ষেএে পিছিয়ে যাবো।
২.আমাদের এক সেমিস্টারের সাথে অন্য সেমিস্টারের সকল ম্যাথ related আর যার ফলে যদি অটোপাশ দেয় তাহলে আমরা পরে কিছু বুজবো না। এবং যার ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
৩.ভবিষ্যতে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সময় আমরা পিছিয়ে থাকবো।
৪.সব সেমিস্টারেরে রেজাল্ট এর % আলাদা আলাদা যার ফলে অটো পাশ দিলে সঠিকভাবে আমাদের মূল্যায়ন হবে না।
৫. আবার অনেকের পূর্বের সেমিস্টারে রেফার্ড আছে তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করবে।
এবার আসুন তাহলে এখন কি আমরা ইয়ার লস খাবো??
না আমরা ইয়ার লস খেতে চাই না।কেনো খেতে চাই না তার কারণ গুলো হলোঃ
১.ইয়ার লস দিলে হাজারো শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন ভাঙ্গবে। এমন কি অনেকে ঝরে পড়বে।
২.ইয়ার লস দিলে ভবিষ্যতে যেসব ঝামেলা হবে তা হলো ৫ বছরে ডিপ্লোমা শেষ করতে হবে। আর BSC করতে ৪ বছর। কখনো কখনো admission সহ ৫ বছর লেগে যায়। আর তাতে করে বয়স বেড়ে যাব। আর সরকারি চাকরির ও বয়স অতিক্রম করবে।যা আমরা কখনো চাই না।
তাই কোনভাবে ইয়ার লস পেতে চাই না। আচ্ছা তাহলে এখন আমরা কি করবো?কি করলে সব সমস্যা সমাধান হবে।
যেহেতু দুই সেমিস্টারের মতো সময় প্রায় শেষ। কিন্তু শেষ হয়নি পুরো সময়।আর করোনার প্রাদুর্ভাব কমে এসেছে। কাওমি মাদ্রাসার মতো আমাদের ইনস্টিটিউট গুলো ও খুলে দেওয়া হোক।
আর ২টি সেমিস্টারের জন্য ২ মাস করে মোট ৪ মাস সময় দেওয়া হোক এবং পরীক্ষা নেওয়া হোক। তবে কিছু শর্তেঃ ১.সিলিবেস শর্ট করে দিতে হবে। মানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধ্যায় বা বইয়ের অর্ধেক। ২. গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক সম্পন্ন করতে হবে। ৩.বোর্ড পরীক্ষা গুলো সহ সব পরীক্ষা নিজ নিজ ইনস্টিটিউট এ স্বাস্থবিধি মেনে নিতে হবে।
৪.কোন সেশনাল খাতা,এবং জব দেওয়া যাবে না যেহেতু সময় কম। ৫.শুধুমাএ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক ক্লাস সম্পন্ন করতে হবে। এবং বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় গুলো করাতে হবে শর্ট সিলিবেসের মধ্যে। ৬.প্রত্যেক কে মাস্ক এবং হ্যান্ড গালপ্স পরা বাধ্যতামূলক করে ক্লাস করতে হবে। ৭. ৮ম পর্বের ভাইবা সহ যাবতীয সম্পন্ন করে দিতে হবে। ৮. শুধুমাএ লিখিত পর্ব সমাপনী পরীক্ষা নিতে হবে।