শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজনে সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠান

 

মানিক দাস, চাঁদপুরঃ

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজনে ১০ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতৃয় দিন বিকালে বঙ্গবন্ধুর চিত্রান্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতৃয় দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন চাঁদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার। চিত্রান্কন প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অজিত দত্ত, ঝন্টু দে ও মনির হোসেন মান্না। প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধ্যায় স্বদেশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন হয়।মনোজ আচার্জ্যির পরিচালনায় সংগীত পরিবেশন করে মধুরিমা আচার্জ্যি, মুনা সাহা, অর্পিকা ভৌমিক, প্রিতী সাজা, শ্রাবন দাস, উপমা সাহা প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশবাসীর অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক বড়।বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্রে ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ একক সংখ্যা গরিস্টতায় জয় লাভ করে।পাকিস্তানিরা বুঝতে পারেনি আওয়ামীলীগ এত ভোট পাবে।১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খান সংসদ অধিবেশন বাতিল করলে বাঙ্গালী জাতী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাজপথে নেমে পরে।রমনার রেসাকোর্স ময়দানে জাতির পিতা ৭ মার্চ বক্তব্য দেন।

যা বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন আমরা জনগন তার সাথে কাজ করতে পেরেছি। আমরা কার নেতৃত্ব মানতাম, নেতা আমাতের প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলেন। বিদেশি সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুকে বলে ছিলেন আপনি রাস্ট্র নায়ক হয়ে এ ভাবে চলেন কেন, তিনি বলেছিলেন বাঙ্গালী আমাকে হত্যা করতে পারেনা।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অনেক সামরিক কর্মকর্তা হামলা চালায় তার বাড়িতে। বঙ্গবন্ধু বলেছিল কি চ্ও তোমরা, তারা জবাব দিয়েছিল রাস্ট্রক্ষমতা ছাড়তে হবে।

বঙ্গবন্ধু বলেছিল জনগন চাইলে ছাড়বো।আর তক্ষনই তাকে গুলি করে স্ব পরিবারে হত্যা করে। রেডিও স্টেশন দখলে নিয়ে মেজর ডালিম ঘোষণা করে বঙ্হবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। সারা বিশ্বে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দাউদকান্দির গোয়ালমারিতে যুদ্ধে আহত হয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু বলেছেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির। এ দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। অনেক মুক্তিযুদ্ধার কন্কাল পাওয়া গেছে বর্ধ ভূমিতে। বহু বীরাঙ্গনা নারী ন্বাধীনতার জন্য ইজ্জত দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন। শেখ হানিনা রাস্ট্র ক্ষমতায় এসে সেই ন্বপ্ন পূরনে কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধা ইয়াকুব মাস্টারের সভাপতিত্বে ও বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশীদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধা মহসিন পাঠান, বিজয় মেলার চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুরের সভাপতি তপন সরকার।

এর পর রূপালি চম্পকের পরিচালনায় সপ্তসূর সংগীত একাডেমীর পরিবেশনায় আরো একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।সব শেষে হারুন আল রশীদের সার্বিক ব্যবস্হাপনায় রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠনের পরিবেশনায় নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।নৃত্য পরিবেশন করে রাব্বি, লিমু, রুবা,প্রিতী, নদী, রিয়া, শাহরিয়া, প্রসান্ত প্রমুখ।