বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের

এমপি ফারুকের জ্ঞান ফিরেছে

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :-

অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুকের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি এখন মোটামুটি ভালো আছেন। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে আগের চেয়ে। তিনি এখন হাত-পা নাড়ছেন।

ফারুকের ছেলে রওশন হোসেন পাঠান আজ সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাবা এখন হাত-পা নাড়তে পারছেন। খুব বেশি না হলেও তার উন্নতি মোটামুটি হয়েছে। তবে ফারুক স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না।

রওশন হোসেন পাঠান জানান, তার বাবা এখনও সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। তাকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। ড. লাই চুংয়ের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর ফারুকের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এ কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। নিয়‌মিত চেকআ‌পের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যান ফারুক। চেকআপের মধ্যেই শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ১৩ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। এর দুই দিন পর খিঁচুনি ওঠায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৮ মার্চ কেবিনে ফিরে আসেন তিনি।

২১ মার্চ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দ্বিতীয় দফায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার রক্তে সংক্রমণের পাশাপাশি পাকস্থলিতে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ফারুকের জন্ম। বেড়ে উঠেছেন পুরান ঢাকায়।

পৈতৃক নিবাস গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’র মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন ফারুক। তার উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘মিয়া ভাই’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘সখী তুমি কার’, ‘কথা দিলাম’, ‘সূর্য গ্রহণ’ ইত্যাদি। ১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অনবদ্য নৈপুণ্যের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ফারুক।

২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন গুণী এই অভিনেতা ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফারুক।