বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইবি হল খোলার দাবিতে বিছানাপত্র

নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হল খোলার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে বিছানাপত্র নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা ৷

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা সেখানে অবস্থান নেন।

পরে বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের আহবানে তারা কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন ৷ তবে প্রক্টর-শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকালে আগামী ৮ অক্টোবরের মধ্যে হল না খুলে দিলে আবারো আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমদিকে অনার্স চূড়ান্ত বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও এখন বিভাগগুলো একইসাথে একাধিক বর্ষের পরীক্ষা নিচ্ছে। এমনকি কিছু বিভাগ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার রুটিনও দিয়েছে।

এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মেসগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কোনো কোনো মেসে পূর্বের বর্ডার থাকা সত্ত্বেও মেস মালিক সেখানে নতুন শিক্ষার্থীদের তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পূর্বের বর্ডারদের পরীক্ষার তারিখ দিলে তারা মেসে এসে দেখছেন তাদের সিট নেই। মেস মালিক তাদের না জানিয়েই অন্য আরেকজনকে ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন।

এ অবস্থায় মেসের সিট না পেয়ে শিক্ষার্থীরা অনেকেই এখানে ওখানে রাত কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে প্রশাসনের কাছে হল খোলার দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনের কাছ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনের সামনে তোশক, বালিশ, বিছানার চাদর বিছিয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে এখন সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। ক্যাম্পাসেরও প্রশাসন ভবন থেকে শুরু করে সব চলছে। কিন্তু প্রশাসন কেন আবাসিক হলগুলো খুলে দিচ্ছে না? ক্যাম্পাসের আশেপাশে যথেষ্ট আবাসনের ব্যবস্থা নেই। ২/৩ গুণ ভাড়া, মেস মালিকদের কাছে শিক্ষার্থীরা জিম্মি অবস্থায় আছে। এছাড়া মেয়েদের নিরাপত্তা ঝুঁকি তো আছেই। এসবের প্রেক্ষিতে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কথা বলতে তার কার্যালয়ে ডাকেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে হল খোলার সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান৷ এরপর শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রসিডিউরগুলো সম্পন্ন করতে আমাদের একটু লেট হয়ে গেছে। যার কারণেই হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে। ভিসি স্যারকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানাবো। আশা করি, তিনি দ্রুতই কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন।