শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডিয়েগো ম্যারাডোনার মতো তাঁর ছোট দুই ভাই রাউল ও হুগোও ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়েছেন। তবে বড় ভাইয়ের মতো খ্যাতি পাননি। তিন ভাইয়ের মধ্যে হুগোই সবার ছোট। বড় এবং ছোট গত হওয়ার পর রইলেন শুধু রাউল ম্যারাডোনা।

ইতালির ঘরোয়া ফুটবলে ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিপক্ষে খেলেছেন হুগো। এমনই একটি মুহূর্তের ছবি

ইতালির ঘরোয়া ফুটবলে ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিপক্ষে খেলেছেন হুগো। এমনই একটি মুহূর্তের ছবি
ফাইল ছবি: টুইটার

‘এল তুর্কো’ নামে পরিচিত হুগো প্রায় অর্ধেক দুনিয়াজুড়ে ফুটবল খেলেছেন। আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ইতালি, অস্ট্রিয়া, কানাডা ও জাপানের ঘরোয়া ফুটবলে খেলার পাশাপাশি দেশের অনূর্ধ্ব–১৬ দলেও খেলেছেন সাবেক এ মিডফিল্ডার। ১৪ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ার শেষে ১৯৯৯ সালে অবসর নেওয়ার পর কিছুদিন কোচিংয়েও জড়ান হুগো। সাম্প্রতিক বছরগুলো তিনি ইতালিতে কাটিয়েছেন।

হুগোর সাবেক ক্লাব রায়ো ভায়োকানো তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে টুইট করেছে, ‘সাবেক খেলোয়াড় হুগো ম্যারাডোনার পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছে রায়ো ভায়োকানো।’

১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত নাপোলিতে খেলেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সে সময় ইতালিয়ান ক্লাবটিকে শীর্ষ দলগুলোর কাতারে তুলে এনেছিলেন তিনি।

এর মধ্যে ১৯৮৭ সালে ডিয়েগোর সুপারিশে তাঁর ছোট ভাই হুগোকে সই করায় নাপোলি। কিন্তু নেপলসের দলটির হয়ে হুগো মাঠে নামার সুযোগ পাননি। ইতালির আরেক ক্লাব আসকোলিতে তাঁকে ধারে পাঠানো হয়। তখন ইতালিয়ান লিগে দুই ভাইয়ের লড়াই দেখেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। ডিয়েগো ও হুগো মুখোমুখি হয়েছেন একে অপরের।

ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভাস্কর্যে চুমু খাচ্ছেন তাঁর ভাই হুগো

ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভাস্কর্যে চুমু খাচ্ছেন তাঁর ভাই হুগো
ফাইল ছবি: টুইটার

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ জানিয়েছে, নেপলসের এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন হুগো।

২০১৮ সালে ইতালিয়ান ফুটবলে নবম স্তরের ক্লাব রিয়াল পারেতের কোচিং শুরু করেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি এ দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব নাপোলির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হুগোর মৃত্যুতে ম্যারাডোনার পরিবারের পাশেই আছে নাপোলি।’

ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে খুব ভুগেছেন হুগো। বড় ভাইয়ের মৃত্যুর কিছুদিন পর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একেকটি দিন যায় আর কষ্ট বাড়ে। আমার এখনো বিশ্বাস হয় না! বারবার মনে হয় ফোন করি। প্রতি শুক্রবার রাতেই এটা করতাম। সে জানত তাকে ফোন করব। দিন যত যাচ্ছে কষ্ট ততই বাড়ছে।’

দুই মেয়ে রেখে পরপারে পাড়ি জমানো হুগোর এই কষ্ট এখন লাঘব হওয়ার কথা।