শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মতলবে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

মুক্তিযুদ্ধাকে হত্যার হুমকি !

মানিক দাস:
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় নিরিহ এ পরিবারটি আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না। তাই সে প্রধান মণ্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রসাশন ও পুলিশ সুপারের কাছে আকুল আবেতন করে বিচার প্রার্থনা করছেন।
আর এমন অভিযোগ উঠেছে মতলব দক্ষিণ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পিন্টু সাহার বিরুদ্ধে। ভোক্ত ভোগি মুক্তিযুদ্ধা সত্তর দশকের বেশি বয়সি মিলন শীল কে জমি জমা বিষয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত কাউনসিলরের নাম পিন্টু সাহা। তিনি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তার ক্যাডারের ভয়ে আমি কোনো আইনি ব্যবস্হা নেয়নি আইনি আইনি ব্যাবস্থা।
 ভূাক্তভোগী মুক্তিযুদ্ধা মিলন শীল জানা যায়, মতলব পৌরসভার নলুয়া মৌজার সাবেক ৪৭৭ দাগে ৩৬ শতক একটি ডোবা পৈত্রিক ওয়ারিশ হয়। যার মধ্যে কিছু অংশ আমার নিজের।
এছাড়াও ঐ পুকুরের একটি অংশ  সরকার হতে লিজ নিয়ে মতলব ডিগ্রী কলেজ মালিক হয়। যা উভয়ের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে ভোগদখল করেন।
এক সময় নগদ টাকার প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধা মিলন শীল তার অংশের পরিমাণ ডোবাংশে বিক্রি করে দেন। বিক্রি করা অংশ ক্রেতার অনুমতি ক্রমে অন্যান্য ভাই ও কলেজ কতৃপক্ষের প্রতিনিধির সাথে সমন্বয় করে ভোগদখল করে আসছেন।
কিন্তু এবছর ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু সাহা খোলা ঐ ডোবাটি কারো সাথে সমন্বয় না করে বিক্রি করে একাই টাকা নিয়ে নেন। পরে ক্রেতা এলাকায় লিটন দাস মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পুকুরের পানি নিস্কাশন  করতে গেলে স্যালো  মেশিন বসাতে গেলে বাধা দেন মুক্তিযুদ্ধাসহ অন্যান্য অংশীদারগন। ঘটনাটি গড়ায় প্রায় দু-মাসেরও বেশি সময় ধরে।
ক্রেতা লিটন দাস ও তার ছেলে অজয় দাস বেশ কয়েক বার তার টাকা ফিরত চেয়ে কাউন্সিলর পিন্টু সাহার কাছ থেকে ফেরত পাননি।  এক পর্যায়ে টাকা দিবে না বলেও জানায় কাউন্সিলর। এরই প্রেক্ষিতে গত ৫ মে সন্ধ্যার পর মুক্তিযুদ্ধা মিলন শীল কে স্থানীয় হরিসভা মোড়ে ডেকে আনে মতলব ডিগ্রী কলেজর দুই শিক্ষক। তারা মিলন শীলের সাথে ডোবার বিষয়ে কথা বলে। কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের সাথে উপস্থিত থাকা কাউন্সিলর পিন্টু সাহা কথা কাটাকাটি করতে থাকে এবং উত্তেজিত হয়ে গলা থেকে পেট পর্যন্ত টেনে চিরে ফেলব, থুতনি ভেঙে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
মুক্তিযুদ্ধা মিলন শীল, উত্তেজিত হলে উপস্থিত সবাই ঘটনাটি দেখে উভয়ইকে শান্ত করেন। মিলন শীলের কাছে ঘটনাটি জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি কেন জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা মিলন শীল ও তার ছেলে উত্তম শীল বলেন, কাউন্সিলর তার ক্যাডার বাহিনী হিসেবে সবসময় বিএনপি জামায়াতের লোকদের নিয়ে চলাফেরা করেন।
কোন দিক দিয়ে কার মাধ্যমে কি ক্ষতি করে সেই ভয়ে আমরা কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি।পিন্টু সাহা  উল্টো উপজেলার আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করেছে। বর্তমানে  আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পিন্টু সাহা বলেন, মুক্তিযোরা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, ওনাদের আমরা শ্রদ্ধা করি।
কিন্তু যে অভিযোগ করেছেন এটি সঠিক নয়। আমি কলেজ থেকে খাল লিজ এনেছি। তাই মাছ ধরতে গেলে মিলন শীল বাঁধা প্রদান করেছে।