শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী নিজে না বললে আমি

মনোনয়ন তুলব না-ইমরান

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী পারভেজ খান ইমরানকে গত মঙ্গলবার ঢাকায় ডেকে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ইমরানের সঙ্গে তাঁর বোন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমাকেও ডেকে নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বৈঠক শেষে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি জানান, ‘ইমরান তাঁর প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২৬ মে নির্বাচন কমিশনের পূর্বনির্ধারিত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ দিন তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। ’

 

কিন্তু কুমিল্লায় ফিরে সুর পাল্টিয়েছেন ইমরান। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না বলা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন না বলে সংবাদটুডে.কম কে জানিয়েছেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে না বললে আমি মনোনয়ন তুলব না। ’

ইমরান কুমিল্লার বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী প্রয়াত অধ্যক্ষ আফজল খানের ছেলে। কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইমরান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য। এবারের কুসিক নির্বাচনে বোন সীমা, ইমরানসহ ১৪ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

এবারে কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। তবে শেষ সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান। ১৯ মে বাছাইয়ে রিফাত ও ইমরানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর ইমরান ঘোষণা দেন―শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে লড়বেন। এখন কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ‘গলার কাঁটা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে ইমরানকে।

বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান সংবাদটুডে.কম কে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আমাদের দুজনের (ইমরান এবং সীমা) সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। তাঁরা আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। জবাবে আমিও তাঁদেরকে আমার অবস্থান জানিয়েছি। সর্বশেষ আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি। আমি বিষয়টি ভেবে দেখছি। আর এখনো আমার পূর্বের সিদ্ধান্তেই আছি। বাকিটা ২৬ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে দেখা যাবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে না বললে আমি মনোনয়ন তুলব না। ’