শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বকশীগঞ্জে তিন বছরেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক মিনার

 দীন মোহাম্মদ আদিল, জামালপুর:

ধর্ষন মামলায় তিন বছরেও গ্রেফতার হয়নি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার পলাশতলা সকাল বাজার গ্রামের ধর্ষক মিনার।

একাধিকবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও ধর্ষক মিনার দাপটের সাথেই তার কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষক মনিরের হুমকির মুখে নিজ বাড়িঘর ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন ধর্ষিতার পরিবার। বিচারের আশায় ঘুরছে দ্বারে দ্বারে। নিজ বাড়ীতে অবস্থান না করায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পড়া লেখা বন্ধ রয়েছে।

জানা যায়, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় পলাশতলা সকাল বাজারের বাসিন্দা লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ২০১৯ সালের ২১ জুলাই ধর্ষনের শিকার হন। একই গ্রামের কুহিল উদ্দিনের ছেলে মিনার (১৯) ওই স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

এব্যাপারে ধর্ষিতার বাবা মনির বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৮ আগষ্ট বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৩, তারিখ ০৮.০৮.২০১৯, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)। মামলাটি তদন্ত করেন বকশীগঞ্জ থানার এসআই শরীফ আহমেদ। মামলা দায়েরের ৬৫ দিন পর মামলার তদন্তকারী কর্মর্কতা এসআই শরিফ আহমেদ মামলার সার্জশীট দেন।

তবে মামলার একমাত্র আসামী ধর্ষক মিনার গ্রেফতার হয়নি। মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ধর্ষক মিনারের পরিবারের লোকজন নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে মামলার বাদী মনিরকে। আসামী পরিবারের চাপের মুখে মামলার বাদী নিজবাড়ী ঘর ছেড়ে স্বপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিবাদী পরিবারের হুমকির মুখে নিজবাড়ী ঘরে ফিরতে পারছেনা ধর্ষিতার পরিবার। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পড়া লেখাও বন্ধ রয়েছে।

অপর দিকে ধর্ষক মিনার দাপটের সাথেই তার কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। বিজ্ঞ আদালত থেকে একাধিকবার গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি হলেও পুলিশ ধর্ষক মিনারকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এব্যাপারে মামলার বাদী ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর বাবা মনির জানান, ধর্ষক মিনারকে গ্রেফতার করানোর জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যথাযথ সহায়তা না পাওয়ায় ধর্ষক মিনারকে গ্রেফতার করাতে পারিনি। মিনার ও তার পরিবারের লোকজনের হুমকির মুখে আমি স্বাপরিবারে নিজ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।

এখনও ধর্ষক মিনারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু মিনার গ্রেফতার হয়নি। এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষক মিনারকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে। তবে আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। আসামীকে গ্রেফতারে বাদীপক্ষকে সহায়তা করতে হবে।