রবিবার , ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কামাল হোসেন নয়ন, চৌদ্দগ্রামঃ
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা গ্রামে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মুনাফের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ও ঘরে ঢুকে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় অন্তঃস্বত্তা নারীসহ তিনজন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযুক্তরা হলো; একই বাড়ির মানিক মিয়া, কালা মিয়া, বাবলু মিয়া, পেয়ার আহাম্মদ, কোরবান আলী তোয়ান, মীর হোসেন, বজলুর রহমান ও শাকিল।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমানগন্ডা গ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মুনাফের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে চলাচলের জন্য ৮ ফুট রাস্তা আছে। ওই রাস্তা দিয়ে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ লোকজন যাতায়াত করে। কিন্তু মানিক মিয়া গং ওই রাস্তায় ট্রাক্টর ঢুকিয়ে আবদুল মুনাফের বাড়ির ভাউন্ডারি টিন ও খুটি ভেঙ্গে ফেলে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা মানিক মিয়া গংকে জিজ্ঞেস করে।
এতে ক্ষীপ্ত হয়ে রোববার সকালে মানিক মিয়া গং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আবারও আবদুল মুনাফের ভাউন্ডারির টিন ও খুটি ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা হামলা চালিয়ে আবদুল মুনাফের ছেলে রাকিবুল ইসলামকে মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ সময় বাধা দিলে রাকিবুল ইসলামের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী শারমিন আক্তারকেও রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে তারা ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় ভিডিও ধারণ করায় রাকিবুল ইসলামের ভাই মেহেদী হাসান ইফতিকেও মারধর করা হয়।
হামলাকারীরা স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেটসহ মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা ৯৯৯-এ কল করলে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আরিফ হোসেন জানান, ‘৯৯৯ থেকে কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মুনাফের ছেলে রাকিবুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।